CPA Marketing (সিপিএ মার্কেটিং) কি? কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং শুরু করবেন

 CPA Marketing (সিপিএ মার্কেটিং) কি? কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং শুরু করবেন!

CPA Marketing (সিপিএ মার্কেটিং) কি? কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং শুরু করবেন

অনলাইনে ইনকাম করার জন্য সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing) অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। আপনারা হয়তো অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে শুনেছেন। সিপিএ মার্কেটিং টা অনেকটা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত কাজ করলেও, সিপিএ মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। পরে কোন একটি পোস্টে আমরা সেগুলো আলোচনা করব।

তাহলে চলুন সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নিই…

• সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing) কি?
CPA এর পূর্ণরূপ হলো “Cost per action“। মানে হচ্ছে আপনি যে ওয়েবসাইট এর হয়ে সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ করবেন, তারা আপনাকে কিছু ছোট ছোট কাজ দিবে, যেগুলো করার মাধ্যমে আপনাকে তারা টাকা দিবে।

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইটে হয়ে কাজ করছেন। তারা আপনাকে কিছু অ্যাপস ডাউনলোড করতে দিল, এবং সেই অ্যাপস ডাউনলোড করার বিনিময়ে আপনাকে ১০ ডলার পারিশ্রমিক দিবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি সেই অ্যাপস গুলো ডাউনলোড করবেন, ততক্ষণ আপনাকে কোন পারিশ্রমিক দেওয়া হবে না।

• সিপিএ মার্কেটিং এর জন্য কি কি লাগবে:
সিপিএ মার্কেটিং এর জন্য প্রথমত আপনাকে একটি ভালো সিপিএ নেটওয়ার্কে (যেমন: Adworkmeadia, Cpa Lead, Cpa Grip ইত্যাদি) যুক্ত হতে হবে।

তারপরে আমাকে সিপিএ নেটওয়ার্কগুলো যে কাজ দেবে সেগুলো ধৈর্য সহকারে সম্পন্ন করতে হবে। আপনি চাইলে সিপিএ মার্কেটিং মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। তবে আমি সাজেস্ট করবো পিসি দিয়ে করার জন্য।

কারণ অনেক সময় সিপিএ মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং করা লাগে। মোবাইলের ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং এ স্মুথলি কাজ করা যায় না। বেশিরভাগ সময়ই একটা ট্যাব খুললে আরেকটা ট্যাব বন্ধ হয়ে যায়।

• সিপিএ মার্কেটিং এ কি কি কাজ করতে হয়:
সিপিএ মার্কেটিং এর নির্দিষ্ট কোন কাজ নেই। এখানে আপনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কাজ দিতে পারে। যেমন:
১. অ্যাপস ডাউনলোড

২. ডকুমেন্ট তৈরি
৩. ওয়েবসাইট ভিজিট
৪. ওয়েবসাইটের এডভেটাইজ এ ক্লিক করা
৫. ডকুমেন্ট থেকে পিডিএফ তৈরি করা
৬. ইমেইল মার্কেটিং করা
৭. Lead তৈরি করা (ইত্যাদি)

• রেভিনিউর পরিমাণ:
সিপিএ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার কাজ অনুযায়ী আপনার রেভিনিউ কম বা বৃদ্ধি পাবে। আপনাকে যদি ছোট একটি কাজ দেয় (যেমন: ইমেইল তৈরি), সেক্ষেত্রে আপনাকে কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ ০.১ থেকে ১ ডলার পর্যন্ত দিবে। আর যদি আপনাকে মাঝারি আকারের কোন কাজ (যেমন অ্যাপস ডাউনলোড) দেয়, সেক্ষেত্রে ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত দিতে পারে। আর যদি বড় আকারের কোন কাজ (যেমন: ডকুমেন্টের কোন কাজ) দেয়, সেক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত দিতে পারে।

তবে কাজ যদি আরো বড় হয় সেক্ষেত্রে রেভিনিউ পরিমাণ আরো বেশি হবে।

• পেমেন্ট সিস্টেম:
বেশিরভাগ সিপিএ মার্কেটিং ওয়েবসাইট গুলো একের অধিক পেমেন্ট সিস্টেম সাপোর্ট করে। যেমন: পেপাল, পেওনিয়ার, বিটকয়েন, পেয়ার, ব্যাংক ট্রান্সফার ইত্যাদি।

তাই অবশ্যই কোন সিপিএ মার্কেটিং ওয়েবসাইটে যুক্ত হওয়ার আগে তাদের পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন।

• ওয়েবসাইটের নিয়ম-কানুন:
সিপিএ মার্কেটিং এর সব ওয়েবসাইট গুলোই তাদের নিজস্ব নিয়ম-কানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। আপনি যদি তাদের নিয়ম অমান্য করেন তাহলে তারা আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করে দেবে।

তাই অবশ্যই সিপিএ মার্কেটিং ওয়েবসাইটের যুক্ত হওয়ার আগে তাদের নিয়মকানুন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন।

পরিশেষে, সিপিএ মার্কেটিং এ যুক্ত হওয়ার আগে অবশ্যই সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন। ভালভাবে না জেনে সিপিএ মার্কেটিং এর ঢুকবেন না, এতে আপনার শুধু সময়ই নষ্ট হবে।

সিপিএ মার্কেটিং ওয়েবসাইটগুলোতে আপনার আসল তথ্য ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলবেন। কারণ আপনি যদি ভুল ইনফরমেশন দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলেন, পরবর্তীতে যদি আপনার একাউন্ট এর কোন সমস্যা হয়, তাহলে সেটা ফেরত পাবেন না।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Previous Post Next Post