কিভাবে লেখা পড়ায় মনোযোগ বাড়াবো? লেখা পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস!
|
কিভাবে লেখা পড়ায় মনোযোগ বাড়াবো? লেখা পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস |
আসসালামুআলাইকুম
হ্যালো গাইজ,আশা করি সকলে ভালো আছেন। প্রযুক্তির জগতে ভালো না থাকার কোন অপশন নেই। ইন্টারনেটের যুগে একটা ভালো না লাগলেও আরো অনেক অপশন অ্যাভেইলেবল রয়েছে। ফেইসবুক, ওয়াটসআপ, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি নিয়ে দৈনন্দিন জীবন তো ভালোই কাটছে। কিন্তু, দিনশেষে লেখাপড়ার খবর কি আমরা রাখছি?
বেশিরভাগই রাখছি না। আমাদের সব কাজ হলেও লেখাপড়াটা সঠিকভাবে হচ্ছে না।যদি জিজ্ঞেস করা হয়, লেখাপড়া সঠিকভাবে না হওয়ার কারণ কি?
অধিকাংশই উত্তর দিবে। লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ নেই। মনোযোগ না-থাকার কারণ কি?
সে বিষয়ে তারা বেখবর। আমরা প্রতিনিয়ত সাইবার জগতে হারিয়ে যাচ্ছি। ইন্টারনেটের কালো ধৌয়ায় পরে আমরা আমাদের বাহ্যিক জীবন নিয়ে ভাবছি না।
আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর করতে লেখা পড়ার কোনো বিকল্প নেই। লেখাপড়া ভালোভাবে করার জন্য মনোযোগ থাকা বর একটি বিষয়।
তাই কিভাবে আমরা লেখা পড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারি সে বিষয়ে আজকে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
মনোযোগ কি
মনোযোগ হলো কোন কাজের প্রতি মন লাগানো।হোক সেটা পড়াশোনা বা অন্য কোন কাজ। আমরা যদি কোন কাজ মনোযোগের সাথে সম্পন্ন করি,তাহলে আমাদের কাজগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন হবে। অন্যথায় ভুল ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে। তাই দৈনন্দিন প্রতিটি কাজ মনোযোগের সাথে সম্পন্ন করা উচিত। আমাদের পড়ালেখাও উন্নতি করতে হলে মনোযোগি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে পড়ালেখার প্রতি মনোযোগি হতে পারি সে বিষয়ে জানবো।
শিক্ষকের উপদেশ মানা
পড়ালেখায় মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হলে শিক্ষকের উপদেশ মানা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকেই এই বিষয়কে প্রাধান্য দেয় না।শিক্ষক অনেক সময় আমাদেরকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়ে থাকেন। আমরা যদি সেগুলো গুরুত্বসহকারে শ্রবণ করি এবং সে অনুযায়ী কাজ করি,তাহলে আমাদের পড়ালেখা দ্রুত উন্নতি হবে। আমাদের সবচেয়ে বর সমস্যা হলো শিক্ষক যখন শ্রেণিকক্ষে লেকচার দেন,তখন আমরা যথেষ্ট মনোযোগী থাকি না।
আধুনিক যুগে আমরা শিক্ষককে মূল্যায়ন করি না। তবে একথা সত্য যে,জীবনে উন্নতি করতে হলে শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তবে অযোগ্য অদক্ষ শিক্ষক হলে সেটা ভিন্ন কথা।
পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা
আগ্রহ অনুপ্রেরণা বড় একটি জিনিস। অনুপ্রেরণাই অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক অসম্ভব কাজ সম্ভব করে ফেলা যায়।আমাদের ক্লাস টিচাররা অনুপ্রেরণামূলক অনেক কথা আমাদেরকে শোনান।
“সময় এবং শ্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না”।
এটা তো অনেক পূরোনো ডায়ালগ পূনরায় রিপিট করার প্রয়োজন কি?
আপনারা তে সকালে ভাত খান।দূপুরে পুনরায় ভাত খাওয়ার প্রয়োজন কি?
উপরের প্রবাদ বাক্যটি আমরা সচারাচরি শুনে থাকি।
কিন্তু, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করি না।আমাদের সমস্ত প্রবাদ বাক্য নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন নেই। আমরা যদি একটি প্রবাদ বাক্য নিয়ে গবেষণা করি, বিশ্লেষণ করি, তাহলে একটি প্রবাদ বাক্যই জীবনে সফল হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
পৃথিবীতে যারা স্মরণীয় বরণীয় হয়ে আছেন তাদের জীবণী ও তাদের লেখা পুস্তিকাদি পড়েও আমরা পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারি।
শিখনফল সম্পর্কে জানা
লেখা পড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হলে শিখনফল সম্পর্কে জানা জরুরি। তুমি যখন কোন জিনিস শিখার ইচ্ছা করবে। তখন তা শিখার পূর্বে যদি তুমি এটা জেনে নাও যে এটা শিখলে আমার কি লাভ হবে কি ক্ষতি হবে। যখন তুমি শিখার লাভ টা বুঝবে তখন অটোমেটিক পড়ার মধ্যে মনোযোগ চলে আসবে। তাই তুমি তোমার বইয়ের কোন একটি পাঠ পড়ার পূর্বে শিখনফল পরে নিবে।এতে করে লেখা পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
শরীর সাস্থের প্রতি যত্ন নেওয়া
শরীর সাস্থের প্রতি যত্ন নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুরুব্বিরা বলে থাকেন, শরীর ভালো তো সব ভালো। অর্থাৎ শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে যেকোনো কাজে মন বসে। কাজ করতেও ভালো লাগে। শরীর সুস্থ থাকলে লেখা পড়া করতে ভালো লাগে। লেখা পড়াতেও মন বসে।অসুস্থ শরীর নিয়ে কোন কাজ ভালো লাগে না। তাই আমাদের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে। শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের সুষম খাবার খেতে হবে।
বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। বেশি সবুজ শাক সবজি খেতে হবে। দৈনিক কমপক্ষে ১২ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস গড়তে হবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার ও সবুজ শাক সবজি রাখার চেষ্টা করতে হবে।
ইন্টারনেটের ব্যবহার সীমিত করা
এবার মেইন পয়েন্টে আসুন। আমাদের লেখা পড়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করে ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহার।আমরা সারাদিন ইন্টারনেটে অকেজো ঘুরে বেড়াই।আমরা ইন্টারনেটে শিক্ষণীয় কোন জিনিস পড়ি না এবং দেখি না।বিশেষ করে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশি সময় অপচয় করে থাকি।
সারাদিন ফেইসবুকের নিউজফিডে ঘুরে বেড়াই।
এই জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
আমরা চাইলেও ইন্টারনেটের ব্যবহার একেবারে ছেরে দিতে পারবো না।
তাই যতটুকু সম্ভব হয় আস্তে আস্তে ইন্টারনেটের ব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।